রাঙ্গা মাটির পথের সেই রাস্তা
বহুদিন পর এলাম শান্তিনিকেত্নের সেই রাস্তায় বহু পরিবর্ত্নের পরেও আজও অম্লান তার সৌন্দর্য, কিযে মাদকতা মিশে আছে তার মাটিতে ,আকাসে বাতাসে যেন এক কোন বিরহিনি একা ফিরছে বিরহের বাঁশি বাজিয়ে, চলেছে কোন এক অজানা পথের উদ্দেশ্যে ।
আজ সকাল থে কে শান্তিনিকেতের আকাশ মেঘে ভারি ঝির ঝ্রির করে বৃষ্টি পড়ছে । আমার ঘরের সামনে একটুকরো ছোট বারন্দা যেন আমার একফালি মুক্তির আকাশ , বহুদিন পর হালকা মনে গান ধরলাম ‘আজি শ্রাবন ঘন গহন বনে গোপন তব চরন ফেলে নিশার মত নীরব হয়ে সবার দিঠি এরায়ে গেলে’। হঠাত দরজা ধাক্কার আওয়াজ পেয়ে উঠে গেলাম দরজা খুলে মনে হল বহু যুগের ওপার থেকে কোনো এক ভুলে যাওয়া স্মৃতি আজ সামনে এসে দারিয়েছে । কাচা পাকা চুল মাথায় কালো ফ্রেমের চশমা ঢাকা সেই উদাস করা দুটি চোখ , এ আমি কাকে দেখছি সামনে , গম্ভীর গলায় বলল ভেতরে আস্তে বলবেনা , কনোরকমে বললাম এস। নীরবে এসে বসল একটি বেতের চেয়ারে । জিজ্ঞেস করলাম চা করি একটু , বলল না । এতোদিন পর অতনুকে দেখে চা করার শক্তি আমার ছিলনা। তার নীরব জিজ্জ্ঞাসা চখে বলতে চায় সেদিন সব ফাঁকি হয়ে গেল কেন ? কিছু বলতে না পেরে কান্না সামলাতে উথে গেলাম ।সেও অপ্রস্তুত হয়ে পরল উঠবে কিনা ভাবছে তখন আমি এলাম । আমার ভেজা চোখের পাতা দেখে হয়তো কিছু অনুমান করল, তেই এতোক্ষন পর কথা বলল গান শুনে খুব চেনা মনে হল তাই দরজা না ধাক্কা দিয়ে পারলামনা আমি উঠছি অসুবিধায় ফেললাম বোধ হয়। যেন আর্তনাদ করে উঠলাম না যেওনা আমারও যে কিছু বলার আছে সুনবেনা সেদিনের সেই না বলা কথা , আর কি বলার আছে সে বলল । অনেক বলার আছে বস, আমি চা করছি । চা করে নিয়ে এলাম । অনেকক্ষন পর আসতে আসতে বললাম সেদিন আমি পারিনি মায়ের চখের জলকে উপেক্ষা করতে , বাবার জেদকে অগ্রাহ্য করতে । কিন্ত্য জান নিজেকে আমি কষ্ট দিয়েছি সব চে বেশী ।
সেদিন অনেকদিন পর মনের বাঁধ যেন ভেঙে গেল ,উজার করে দিলাম নিজেকে ।যত কান্না জমিয়ে রেখেছিলাম সব কিছুর জেন বেরিয়ে এল স্রোতের মতন। কিছুই কি ভাল হয়নি হ্যা জা হয়েছে তা আমার দুই কন্না সন্তান জাদের মানুষ করেছি আমার মনের মতন করে।দু জনেই সু শিক্ষিত আর দু জনেই অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন ।আমার নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছিলাম মেয়েদের জীবনে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতটা প্রয়োজন। অতনু বলল ভাগ্য বোধহয় আমাদের ওপর খুব বিরুপ নয় দেখো এতদিন পর কি অদ্ভুত ভাবে দেখা হল ? সে কথা ঠিক কনদিন ভাবিনি তোমার আবার দেখা পাব । চেষ্টা করেছিলে নাকি ?গলার সুরে যেন পুরান সেই অভিমানের ছোয়া। বললাম নিশ্চয় কিসের টানে ছুটে আসি বারবার শান্তিনিকেতনে যদি ক্কখনও দেখা হয় এই আশায় । আমার তো মনে হয় দেখা না হলেই ভালো হতো ,শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত আবার নতুন করে রক্তাত্য হল ।
আমার শান্তিনিকেতনের এই বাড়ী একান্তভাবেই আমার । আমার কন্নারা তাদের মায়ের জন্য এই ছোট ডেরাটুকু করে দিয়েছে ।
আমি সাজিয়েছি বারিটাকে আমার মতন করে ভালো করেদেখতো নিজেকে খুজে পাওকি না? একটু চুপ করে থেকে বলল মনে পরে রাঙামাটির এই রাস্তায় চলতে তুমি কি আনন্দ পেতে ? হ্যাঁ তা আর পরেনা আর তুমি পথের ধারে রাশি রাশি রাধাচূড়া আর কৃষ্ণচূড়া ফুল তুলে আমার খোপাকে সাজাতে । কলকাতার মানুষ্রা জন্মদিনে ফ্লাওয়ার বোকে দেয় গাছের ফুল তুলে উপহার দিতে জানেনা । না জানাই ভালো । কেন? যা সুধু তোমার আমার তা সবার হয়ে লাভ কি? তা অবশ্য ঠিকি বলেছ ।
একদিকে আমাদের বিয়ে হয়নি ভালোই হয়েছে , কেন? অবাক চোখে তাকালাম , বিয়ে হলে প্রতিদিনের চাওয়া পাওয়ার মধ্যে আমাদার ভালোবাসা কি এতো অমলিন থাকত ? কোথায় হারিয়ে যেত , তা ঠিক এতদিন পরেও দুজনে দুজনে কে এভাবে খুজে বেরাতাম না ।
বিয়ে করলে কোথায় ? ছেলে মেয়ে ? বিয়ে কথায় করলাম বলতে পারবোনা তবে ছেলে মেয়ে তো আমার বিশ্ব জুরে , তোমার সেই অভ্যাস এখনও গেলনা কোনো সোজা উত্তর দিতে পারনা । কি উত্তর সুনবে তুমি বিয়ে তো করিনি ,মনে একজনকে ধরে রেখে আর একজনের সাথে ঘর করা পারিনি।
আজ তবে উঠি , চলে যাবে হ্যাঁ যাই , আবার কবে দেখা হবে? আর দেখা না হওয়াইতো ভালো তাইনা ? থাকনা আজকের এই ভালো লাগার স্মৃতি টুকু বুকের মধ্যে ,তুমি যত সহজে বলতে পারলে আমি কি করে বলি , এতো দিনের পপ্র দেখা পেলাম আবার হারিয়ে যাবে? হারিয়ে তো ছিলাম আমরা আবার না হয় হারিয়ে থাকব । আমাদের দুজনের পথ তো দুটি সামান্তরাল রেখা । কনো দিন এক হয়ে মিলবেনা।
তুমি তো বলেছিলে আমরা শেষেরকবিতার অমিত আর ল্যাবন্য তবে আজ চোখে জ \ল কেন? হাসিমুখে বল ‘হে বন্ধু বিদায়’
সুধু দেখো ভালোবাসাকে বাচিয়ে রেখো আর কনো ভালোবাসা জেন আমাদের মতন হারিয়ে না যায় ।
২১ আগষ্ট - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪